পারমাণবিক সামমেরিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে হওয়া অকাস চুক্তির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এই চুক্তি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে জানিয়েছে মস্কো।
শুক্রবার রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, এই চুক্তি নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল ক্রেমলিন।
তিনি আরও বলেন, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
গত সপ্তাহেই মস্কো জানিয়েছিল, তারা অকাস চুক্তির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।
গতমাসে স্বাক্ষরিত ত্রিদেশীয় অকাস চুক্তির ফলে যুক্তরাজ্যের পর মার্কিন পরমাণু প্রযুক্তিতে সাবমেরিন নির্মাণকারী দ্বিতীয় দেশ হবে অস্ট্রেলিয়া।
বর্তমানে বিশ্বের মাত্র ছয়টি দেশের পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ আছে। অকাস চুক্তির পর রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও ভারতের পর সপ্তম দেশ হিসেবে সেই তালিকায় নাম লেখাতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে, অকাস চুক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপর ভীষণ চটেছে ফ্রান্স। ফান্সের কাছ থেকে ডুবোজাহাজ কেনার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আধুনিক পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য চীনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়াকে ওই ডুবোজাহাজ বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
এই বিষয়টিই ক্ষুব্ধ করেছে ফ্রান্সকে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে ফ্রান্স চুক্তির বিষয়টি জানতে পারে বলে জানা গেছে। ক্ষুব্ধ ফ্রান্স বিষয়টি জানার পর যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে তাদের কূটনীতিক সরিয়ে নেয়।