পদ্মা সেতুর নির্মাণ বন্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্র করেছিল বিএনপি। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা নস্যাৎ করে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে জনগণ বিএনপিকে ধিক্কার দেওয়ায় তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আসলে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ কারণেই তারা নানা ধরনের আবোল-তাবোল কথা বলছে। তারা খালেদা জিয়া বলেছিলো, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে পারবেন না।” বিশ্বব্যাংকসহ পৃথিবীর অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করে, সে জন্য নানা ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ফেলেছে। এদেখেই বিএনপির গাঁয়ে জ্বালা ধরেছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান।
শনিবার (৪ জুন) শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাঙালিদের কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালিদের দাবিয়ে না রাখতে পারার প্রতীক। বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করেনি, কোনো দিন করবেও না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে শিখিয়েছেন। শত বাঁধা-বিপত্তি, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি সততায় সেরা, মেধায় সেরা, দক্ষতায় সেরা। সেরাদের সেরা প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মানুষ একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাই আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এগিয়ে যেতে হবে।
ইকবাল হোসেন অপু এমপি বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের বিস্ময়। তার সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখলে বিএনপি নেতাদের গা জ্বালা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমূখ।