নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যতবার নির্বাচন করেছে ততবার বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। আগেও আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগ জনগনের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা ১০০ বছর পিছিয়ে গেছি। নাহলে আমরাদের দেশ অনেকটা এগিয়ে যেতো।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরকারি তোলারাম কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত মহানগরের ১৩, ১৪, ১৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মান করবো। তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার তিনি করবেন। আর সেই ওয়াদা তিনি রক্ষা করে চলছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যেটা বলে সেটা করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির তো ষড়যন্ত্র ছাড়া কোন গতি নাই। ওরা পায়ে পারা দিয়ে ঝগরা লাগতে চাচ্ছে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। আমাদের নেত্রী হচ্ছেন নীলকন্ঠি। তিনি বিষকে হজম করেন। তিনি আমাদের ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু ধৈর্যের একটা সিমা আছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মো. টিপু সুলতানের সঞ্চালয়না কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ঊর্মি ঢালী সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হয়ে ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য মুন্সি নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য জামির হোসেন রনি, সাবেক সদস্য কায়কোবাদ রুবেল ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলী হাসান সজীব।