সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ বাংলা মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকার প্রবেশপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। দলটির নেতাকর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলিও করে পুলিশ।
এ সময় কয়েকটি স্প্লিন্টার আঘাত করে টিটুর দুই চোখে। এখন তিনি তার বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। তার ডান চোখে ল্যাসিক করা হয়েছে। তবে সেটিও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাজধানীর ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপির এ থানা সভাপতি। গতকাল সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে তাকে দেখতে যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনসহ অন্যান্য নেতারা। এ সময় টিটুর স্ত্রী আফরোজা ইসলাম নেতাদের এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) টিটুর বাঁ চোখে বড় অপারেশন করা হবে বলে জানান আফরোজা। তিনি আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে গুলি করে আমার স্বামীর চোখ অন্ধের পথে নিয়ে গেল পুলিশ। এ বিচার কাকে দেব? কে করবে?
তার (টিটু) দুটি চোখের অবস্থাই খারাপ। এতটাই ব্লিডিং হয়েছে, উনার কতটুক পর্যন্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে সেটি এক্সরে, এমআরআই করেও ধরা যাচ্ছে না। উনার ডান চোখে ল্যাসিক করানো হয়েছে। বাঁ চোখের অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ফতুল্লা থানা বিএনপি থেকেও কোনো বিবৃতি আসেনি।
জানা গেছে, গত শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ বাংলা মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য গেলে বিএনপি নেতাদের মূল সড়কে উঠতে বাধা দেয় পুলিশ।
এসময় বিএনপি নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে বিএনপি নেতারা ইটপাটকেল ছুড়লে গুলি করে পুলিশ। এতে টিটুর দুই চোখে ছিটা গুলির স্প্লিন্টার আঘাত লাগে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।
রোববার (৩০ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল হক বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেন। এতে ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।