পুলিশ পরিচয় দিয়ে আকিজ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারে কাছ থেকে ৩লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ ভূয়া পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে আরো ২ ভূয়া পুলিশ। অভিযান কালে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৩ ভূয়া পুলিশের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের নগদ ৪ হাজার টাকা, ১টি খেলনার পিস্তল, ১টি পুলিশ খেলা জেকেট, ১টি ওয়াকিটকি, ১টি পুলিশ লেখা মোটর সাইকেলের হেমলেট ও ১টি গান বেল উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত ভূয়া পুলিশরা হলো বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার ফালান মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুল মিয়া ছেলে ফরহাদ হোসেন শুভ (২৩) একই থানার কুশিয়ারা বড় মসজিদ এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (২৩) দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার দেলোয়ার মিয়ার ছেলে রাহাত (২০)। পলাতক ভূয়া পুলিশরা হলো বন্দর উপজেলার দাঁশেরগাও এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে বাঁধন (২১) ও নবীগঞ্জ কদম রসুল এলাকার ইমদাদ (২২)। গত মঙ্গলবার দুপুরে ও রাতে থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কদম রসুল মাজারের সামনে বন্ধ একটি চিনির গোডাউনের ভিতরে এ ওই চাঁদাদাবিসহ চাঁদা আদায়ের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের বূক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার ইমন পাইক বাদী হয়ে বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ৩ ভূয়া পুলিশ ও পলাতক ২ ভূয়া পুলিশসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৯(১০)২৩ ধারা- ১৭০/ ১৭১/ ৩৪২/৩৮৫/ ৩৮৬ ৩৪/ ৪১১/ পেনাল কোড-১৮৬০।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, সুদূর গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া থানার বান্ধাবাড়ী এলাকার ইদ্রিস পাইকের ছেলে ইমন পাইক আকিজ গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরি করার সুবাদের তিনি বন্দর থানার লক্ষনখোলা এলাকার জনৈক জামাল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে। গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় উল্লেখিত ৫ ভূয়া পুলিশ ইঞ্জিনিয়ারের ভাড়াটিয়া বাসায় পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ করে আকিজ গ্রপের ইঞ্জিনিয়ারকে তাদের সাথে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।পরে বাধ্য হয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইমন পাইক সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদম রসুল মাজার সংলগ্ন চিনি গোডাউনের ভিতরে নিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা আটক রেখে ভ’ক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ারকে কাঠের ডাসা দিয়ে এলাপাতারী ভাবে পিটিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় অপর ভূয়া পুলিশ আব্দুর রহিম ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে থাকা নগদ ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাকি টাকা না দিলে ভূক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ারকে থানায় নিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। পরে বাধ্য হয়ে ব্যাংক থেকে বাকি ৩ লাখ টাকা তুলে দিবে বললে উল্লেখিত ভূয়া পুলিশগন আটককৃতকে চিনি গোডাউনের ভিতর থেকে বের করে রাস্তায় আনলে ওই সময় ভূক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার মানুষ দেখে চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ভূয়া পুলিশ ফরহাদ হোসেন শুভ (২৩)কে খেলনার পিস্তল, ওয়াকিটকি, পুলিশের জেকেট, পুলিশের হেমলেট ও গ্যান ব্যাগসহ উক্ত ভূয়া পুলিশকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। পরে পুলিশ আটককৃত ভূয়া পুলিশের তথ্যে ভিত্তিতে থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ২ ভূয়া পুলিশকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে গেছে আরা ২ ভূয়া পুলিশ।