বন্দরে তালাক প্রাপ্ত স্বামী ও তার আত্মীয় স্বজনদের সন্ত্রাসী হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ৮ দিন পর অবশেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের র্নিদেশে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ভূক্তভোগী মোঃ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩১(৯)২৩ ধারা- ৪৪৮/ ১৪৮/ ৩৮৬/ ৪২৭/ ৫০৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় বন্দর কবরস্থান সংলগ্ন উইলসন রোড এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা হলো বন্দর উইলসন রোড এলাকার মনির মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (২০) একই এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে কবির (৩০) একই এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শহীদ (৫৮) ও তার স্ত্রী রাহিমা বেগম (৫০) ও একই এলাকার মনির মিয়ার মেয়ে নাজমা বেগম (৩৫)।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুস সামাদ এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রেখেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উইলসন রোড এলাকার মনির মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন মামলার বাদী নাবালিকা কণ্য ঐশি মনিকে ফুসলিয়ে প্রেমের কথা বলে গত ১ বছর পূর্বে কৌশলে ১নং বিবাদী শাহাদাত হোসেন তাদের বাড়িতে নিয়ে মিথ্যা সংসারের নামে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল।
গত ৩ ,মাস পূর্বে ঐশি মনি ১নং বিবাদী বাড়ি থেকে পালিয়ে তার পিত্রালয়ে আসে। এর ধরাবাহিকতায় গত ১৭ আগস্ট বাদী মেয়ে ঐশি মনি নির্যাতনের কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত তথা গনমাণ্য ব্যাক্তিবর্গকে অবগত করে তালাক প্রদান করে।
তালাক প্রদানের জের ধরে ১নং বিবাদী শাহাদাতসহ উল্লেখিত বিবাদীগন লোহার পাইপ, রড, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র বাদী বাড়ি দরজা জানালা ভেঙ্গে বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে। পরে ২নং, ৩নং, ও ৫নং এজাহারভ’ক্ত আসামী বাদী মেয়েকে টেনে হেচরে বাসা থেকে বাহির করার চেষ্টা করলে মামলার বাদী এতে বাধা প্রদান করে।
পরে হামলাকারি তালাকপ্রাপ্ত স্বামী শাহাদাত হোসেন আলমারি খুলে বিদেশ থেকে পাঠানো নগদ দেড়লাখ টাকা জোর পূর্বক ভাবে নিয়ে যায়। ২নং বিবাদী চাকুর ভয় দেখিয়ে আলমারী ড্রয়েরে রাখা ১ ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ২ ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চুরি নিয়ে পালিয়ে যায়।