বন্দরে মদনপুর ফুলহর এলাকায় গড়ে উঠা ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের টয়লেটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় মারাত্মক দূর্গন্ধে ২৭নং ওয়ার্ডের ২০টি পরিবার প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে দিন যাপনের করার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মার্কেটের বাহির অংশে টয়লেটের ময়লা, পানি জমে গিয়ে মারাত্মক দুর্গন্ধে ভূক্তভোগী ২০টি পরিবারসহ এর আশে পাশের সাধারন মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
শনিবার (১৩ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষের বর্জ্য অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা যায়। ভূক্তভোগী পরিবাররা বার বার তাদের সমস্যর কথা মার্কেট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে রহস্য জনক কারনে মার্কেট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
মার্কেটের টয়লেটের ময়লা পানির র্দূগদ্ধে নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে সেখান কার লোকজন। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগী ২০টি পরিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত এ খুদার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ফুলহর এলাকার মৃত পরান আলীর ছেলে নবী হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমকে জানান, মার্কেট হবার পর থেকেই প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ মার্কেটের টয়লেটের ময়লা পানি ও বর্জ্য আমাদের বাড়িতে ঢুকে যায়। প্রায় ৪০ ফুট জায়গায় এই ময়লা পানি জমে থাকে। মার্কেটের পিছনে মার্কেটের কোন জায়গা নেই এবং তাদের কোন ভালো পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নেই।
আমাদের জায়গা এই মার্কেটে ছিলো, মার্কেট করার স্বার্থে আমরা তা বিক্রি করি এবং আজ আমরাই ভোগান্তির শিকার। বহুবার মার্কেটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার বাড়িতে ২০টি রুমে ভাড়াটিয়া থাকে, দুর্গন্ধের কারণে তারা বাসা ছেড়ে চলে যেতে যাচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী মহোদয়, বন্দরের ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উক্ত মার্কেটের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি ভূঁইয়া বলেন, আমি বর্তমানে অত্র মার্কেটের সভাপতির দায়িত্বে নেই। ভূক্তভোগী এ বিষয়ে মার্কেটের সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে’।
এ বিষয়ে কথা বলতে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।