ষ্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর পশ্চিম পাড়া এলাকায় সাবেক ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম এর নির্দেশে ও সন্ত্রাসী শাহ আলীর নেতৃত্বে মোজাম্মেল হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহত রক্তাক্ত গুরুতর যখম মোজাম্মেল হোসেনকে স্বজনরা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে মোহাম্মদ সেকান্দার আলীর পুত্র মোজাম্মেল উল্লেখ করেনঃবিবাদী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার(ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক, ১নং ওয়ার্ড, বক্তবলী), জামান(সহ-প্রচার সম্পাদক, বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড, আওয়ামীলীগ), উভয় পিতা- মৃত আফসার উদ্দিন, মোঃ শাহ আলী ও মোঃ শাহ জালাল এবং মোঃ সুলতান , সর্ব পিতা- মৃত ওয়াজ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, পিতা- মোঃ শাহ জালাল, জসিম কসাই পিতা- মৃত আলী আজগর, ফালান মুদি, (প্রচার সম্পাদক, বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড, আওয়ামীলীগ), পিতা- হাসেম মুনি, সুরুজ, পিতা- মৃত লেহাজ আলী, আকাশ পিতা- বাসেক শেখ, আঃ রশিদ পিতা- মৃত শামসুদ্দিন, নজরুল পিতা- মৃত হালিম, মুজাম্মেল পিতা- নাছির, আল আমিন, সুমন উভয় পিতা- লাল মিয়া, মহসিন পিতা- মন্নাফ, রাব্বি পিতা- সালাউদ্দিন, কামাল পিতা- মৃত লেহাজ আলী, সর্ব সাং- পূর্ব গোপালনগর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি পাইকারী দরে বিভিন্ন দোকানে দোকানে ফল বিক্রী করি। উল্লেখিত বিবাদীগন এলাকায় আওয়ামীলীগ করে। তাহারা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করিয়া বেড়ায়। তাহাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট। তাহাদের সহিত আমার বিবিধ বিষয় নিয়া পূর্ব শত্রুতা চলিয়া আসিতেছিল। তাহারা আমাকে বিভিন্ন সময় উস্কানি মূলক কথাবার্তা সহ ক্ষতি করার জন্য পায়তারা করিয়া আসিতেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ইং- ১০/০৯/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান- ০১.০০ ঘটিকার পাইকারী ফল বিক্রী বাবদ পাওনাদারদের থেকে আদায় করা নগদ টাকা সহ আমার উল্লেখিত ঠিকানার বাড়ীতে ফেরার পথে ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব গোপলনগর এ্যালিগেন্ট মডেল স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাইলে উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন বিবাদীরা পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে হাতে ধারালো চাপাতি, ছোরা, চাকু, সুইচ গিয়ার, লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক, কাঠের ডাসা, লাঠি সোডা ইত্যাদি সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতা বন্ধে দলবদ্ধ হইয়া আমার পথরোধ করতঃ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয়ের হুকুমে ৩নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার কপালের ডান পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমি চিৎকার দিয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন বিবাদীরা এলোপাতাড়ী ভাবে তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক, কাঠের ডাসা, লাঠি সোডা ইত্যাদি দিয়া পিটাইয়া ও কিল ঘুষি লাথি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। ১০ ও ১১নং বিবাদীদ্বয় আমার লুঙ্গির কোচরে থাকা ফল বিক্রী বাবদ বিভিন্ন পাওনাদারদের থেকে আদায় করা সর্বমোট ৯৫,৭৫০/- (পঁচানকাই হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা নিয়া নেয়। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি লোকজনদের সহায়তায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, খানপুর, নারায়ণগঞ্জ গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মোজাম্মেল।