ফরিদপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে এই হামলায় কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শহরের অম্বিকা ময়দানে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সাড়ে ১২টার দিকে মঞ্চে বক্তব্য চলাকালে উত্তর দিকে শহীদ সুফি সড়কে এসে হেলমেট পরিহিত কয়েকজন প্রথমে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। কিছুক্ষণ উভয় পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পর হামলাকারী হেলমেট বাহিনী পালিয়ে যায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চৌরঙ্গী মোড়ের পূর্ব দিকের মুখে অবস্থানে ছিল। এদিকে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর চৌরঙ্গী মোড়ের পূর্ব দিকের সড়কে পুলিশের ব্যারিকেডের পেছন প্রান্ত হতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ. কে কিবরিয়া স্বপন দাবি করে বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের হামলায় আমাদের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের তিনটি স্পটে মোট ১৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। ইটের আঘাতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।’
ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় জাসাসের শিল্পীদের গণসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসিরুদ্দিন কালু সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহমেদ আসলাম, রাজবাড়ীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।