গার্মেন্টসে নাইট শিফটের কাজ শেষ করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পায়ে হেটে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে গার্মেন্টস কর্মী (২২) কে তুলে নিয়ে ধর্ষন চেষ্টাকালে স্থানীয়বাসীর সহায়তায় ৩ বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে ফতুল্লার ভোলাইল মরাখাল সংলগ্ন স্থানে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার কাফিলা দক্ষিণ পাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র ও ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও চাঁদনী হাউজিংয়ের মাসুমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হৃদয় (২৩), পটুয়াখালী জেলার সদর থানার ছাত্তার গাজীর পুত্র ও ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও চাদনী হাউজিংয়ের হামিদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া জহিরুল (২৪) ও বরগুনা জেলার আমতলী থানার ইসলামপুরের শহিদ হাওলাদারের প্ত্রু ও ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও চাঁদনী হাউজিংয়ের মাসুমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হৃদয় হাওলাদার(২০)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করে ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গার্মেন্ট কর্মী নাইট শিফটের কাজ শেষ করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পায়ে হেটে ভোলাইল মরাখাল এলাকায় নিজেদের ভাড়া বাসায় ফিরছিলো। মরাখাল সংলগ্ন শুভর চায়ের দোকানে পার্শ্বে পৌঁছা মাত্র গ্রেফতারকৃত রখাটেরা তার পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই তারা তার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পার্শ্বের একটি জঙ্গলের (ঝোপ) ভিতর নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেস্টা করলে তিনি ডাক-চিৎকার করেন।
তার ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে জহিরুল কে আটক করে তবে সাথে থাকা অপর দুজন মোঃ হৃদয় ও হৃদয় হাওলাদার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে লাফিয়ে পরে সাতরে পালিয়ে যাবার চেস্টা করলে পুলিশ তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পৌছে পুকুরে নামা দুজনকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর জানায়, প্রতিরাতে কাজ শেষ হলে ভুক্তভোগীর স্বামী গার্মেন্টস থেকে তাকে বাসায় নিয়ে যেতো। বুধবার রাতে স্বামী না আাসায় গার্মেন্টসের কাজ শেষ করে পায়ে হেটে বাসায় ফেরার পথে ভোলাইল মরাখাল নামক স্থানে পৌছামাত্র গ্রেফতারকৃতরা নারী শ্রমিকের মুখ চেপে ধরে রাস্তার পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে (ঝোপ) নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেস্টা করে। এঘটনায় পুলিশ স্থানীয়বাসীর সহায়তায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।