অভাবের তাড়নায় ফতুল্লার তল্লায় মো. হারেস মিয়া (৫৫) নামে এক রাজ মিস্ত্রির ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
নিহত মো. হারেস মিয়া বরগুনা জেলার সদর থানার গরু চালনার মৃত হানিফ মুসিল্লির পুত্র।
সে ফতুল্লা মডেল থানার তল্লা রেলাইন নতুন রাস্তার পাঠাগার সংলগ্ন জসিম উদ্দিনের বাসায় ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলো।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি কর ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাইজু বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, নিহত হারেস মিয়া রাজ মিস্ত্রির কাজ করতো। বেশ কিছুদিন ধরে কাজকর্ম না থাকায় অনেকটা বেকার জীবন-যাপন করছিলো। ফলে সংসারে আর্থিক অভাব-অনটন দেখা দেয়। সংসার চালানো বা ব্যয় বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছিলো।
অপরদিকে সে দীর্ঘদিন ধরে মৃগি রোগে ভুগছিলো। একাধিক ডাক্তার দেখানো হলেও সে সুস্থ হচ্ছিলোনা। আর্থিক অনটন ও রোগের বিষয় নিয়ে নিহত হারেস মিয়া হতাশ হয়ে পরেছিলো। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে নিজ রুমে গিয়ে বাদীর সাথে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পরে।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাদীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে দেখে তার স্বামী নিহত হারেস মিয়া তার পাশ্বে নেই। তখন বাদী ঘরের লাইট জ্বালালে দেখতে পান রুমের দরজার পার্শ্বে টিনের চালের কাঠের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে ফাঁস দেয়া নিহতের ঝুলন্ত লাশ।