নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেছেন, বন্দর উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মদনপুর ইউনিয়নে নৌকা ছাড়া বাকি ৪ ইউনিয়নেই লাঙ্গল মার্কা বিজয় হয়েছে। শুনলে লজ্জা লাগে। এর কারন একটাই আমাদের দলীয় এমপি নাই। আমার জেলার সেক্রেটারী শহিদ বাদল বলে গেছেন আমরা নৌকা চাই এই আসনে।
সেনারগায়ে আ’লীগের ছড়াছড়ি অথচ আ’লীগের এমপি নাই। একমাত্র মহাজোট হওয়ার কারনে আমরা তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু লাঙ্গলের যে অবস্থা তাদের মধ্যেই দুই ভাগ।
আ’লীগের সাথে যদি লাঙ্গল মার্কা নির্বাচন করে তবে থেকে ৩ পার্সেন্ট বেশি তারা পাবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাব অন্তত নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে নৌকা দেন। নারায়ণগঞ্জে আ’লীগ অনেক শক্তিশালী। আর আমরা লাঙ্গলের কাধে ভর করে চলতে চাই না।
শনিবার ১৭জুন বিকেলে বন্দর ইউনিয়নস্থ কুশিয়ারা মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আজকে যারা আ’লীগের দায়িত্ব পাবেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। দলকে সুসংগঠিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করুন। সামনে আমাদের কঠিন সময়। আমাদের মধ্যেই মিশে আছে জামাত বিএনপির লোক।
আমাদের মধ্যেই কোন না কোন নেতাকে ম্যানেজ করে তারা কৌশলে পদ পেয়ে যায়। খবরদার আ’লীগে যাতে জামাত বিএনপি প্রবেশ করতে না পারে। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পূণরায় আ’লীগকে ক্ষমতায় আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড.শহিদ হাসনাত মোহাম্মদ বাদল।
বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ,সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম,ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ,বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিউদ্দিন,বীরমুক্তিযোদ্ধা সালাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ,বন্দর থানা আ’লীগ নেতা হুমায়ুন কবির এলিন,উপজেলা আ’লীগ নেতা আব্দুল্লাহ বাবু,আব্দুর রইফ,সাহাদাৎ হোসেন,বন্দর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফয়সাল কবির,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম,হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, প্রথম অধিভেশন শেষে দ্বিত্বীয় অধিভেশনে এমএ রশিদের সভাপতিত্বে বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের ৯টি ওয়ার্ডে ২৭০জন ভোটারের মধ্যে সভাপতি ও সাধারনে সম্পাদক মোট ৫জন প্রার্থীকে নিয়ে ভোট গ্রহন শুরু হয়। ভোট গ্রহন শেষে বন্দও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী ১নং ব্যালট নং জাকির হোসেন পনির পেয়েছে ৪ ভোট। অপর সভাপতি প্রাথর্ূী ২নং ব্যালট নং নুরুজ্জামান মোল্লা পেয়েছে ১৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।
এদিকে বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ১০নং ব্যালট নং এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছে ৭৫ভোট। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ১১নং ব্যালট নং এ্যাড.তাজুল ইসলাম ৯৭ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। এবং সাধারন সম্পাদক বাদল মিয়া ৫ ভোট পেয়ে ৩য় হয়েছে।