দৈনিক প্রথম আলো নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র এবং এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের (অওয়ামীলীগ ও সরকার) শত্রু নয়, কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ। বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে। গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলটির সভাপতি সম্পাদকম-লীর সদস্যদের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, ঐতিহ্যগতভাবেই প্রথম আলো এক বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে তারা বরাবরই বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এবং শেখ হাসিনা যা করেছেন, অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ভাতাসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনা সরকার এবং পার্সোনালি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের শত্রু নন। কেউ কেউ আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। আমরা আজকের আগে এ বিষয়গুলো কখনো আপনাদের বলিনি। আজ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তিনি বলেন, দৈনিক প্রথম আলো তাদের নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। অনেকে বলেছেন যে, এটা তাদের একটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন, মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ ভুল নয়; এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর এই উদ্যোগ জাতিসত্তা বিনাশী অপতৎপরতা নয় কি? স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন। অথচ এই দিনে পলিটিক্যালি সিলেক্টেড বিশেষ এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্যে এই সংবাদ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অর্জনকে অস্বীকার করার শামিল নয় কি? তিনি বলেন, কী রকম ষড়যন্ত্র! এই ঘটনায় একজন সম্পাদক এবং একজন রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং সংস্থা থেকে যেসব রিপোর্ট এসেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নাকি মামলা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, এরা অত্যন্ত চতুর। আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। যার কারণে এই খবর ফলাও করে প্রচার হচ্ছে।