নয়া পল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। তার নাম মকবুল (৩২)।
গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মকবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পৌনে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, আহত আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদের মধ্যে রনি ওরফে রবিন, মনির, রাশেদ ও আনোয়ার ইকবাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান রুমি ও তার পরিচিত আব্দুল জলিল জানান, নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের সময় হঠাৎ দেখি ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি গুলিতে আহত হয়েছেন। পরে আমরা তাকে রিকশায় করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের কাছে একটি মোবাইলফোন পাওয়া গেছে। সেই ফোনের মাধ্যমে জানা গেছে তার নাম মকবুল। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত লোকজন নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে দেখে জানান তার পিঠে ও নাকে-মুখে ছররা গুলির চিহ্ন আছে।