রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে দুই ধরনের রাজনীতি চলছে। একটা ওসমান পরিবারের আরেকটা চুনকা পরিবারের। আমি একজন সাধারণ কর্মী।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. আতিকুজ্জামান সোহেলের উদ্যোগে স্বাধীনতা মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা জি এম আরাফাতের সঞ্চালয়নায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সহধর্মিনী সুলতানা রাজিয়া, বন্দর আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা আইয়ূব আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক তোলারাম কলেজ ছাত্রসংসদের জিএস জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক হোসেনসহ আরো অনেকে।
এ সময় আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, পচাত্তরের ১৫ই আগস্ট সারা নারায়ণগঞ্জে যখন কেউ ছিল না আমরা দশ বারো জন মিলে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করেছিলাম।
বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে আমি বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। অনেকে অনেক বড় কথা বলেন। ৮০ সালের পরে যারা রাজনীতিতে এসেছে তারাও যখন বলে আমরা পচাত্তরের পরে রাজনীতি করেছি তখন বলার কিছু থাকে না। পচাত্তরের পর নারায়ণগঞ্জে অনেককেই খুজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে দিত না তারা এখন আওয়ামী লীগ নেতা। আজকে সারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সবাই আওয়ামী লীগ। যখন আওয়ামী লীগের দুর্দিন হয় তখন আমরা লেজ গুটিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাই।
আর এখন আওয়ামী লীগের হাইব্রিডদের কারনে ত্যাগীরা আজ কোণঠাসা হয়ে গেছে। সব জায়গায় চাকরিজীবী লীগ, সৈনিক লীগ, অমুক লীগ তমুক লীগ বানিয়ে তারা আওয়ামী লীগ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, মানুষকে ভালবাসতে হবে। মানুষের সেবা করতে হবে। মানুষকে ভাল না বাসলে জীবন বৃথা হয়ে যাবে। আমাদের জন্মই হয়েছে মানুষের সেবা করার জন্য।