রাজনীতিকে ইবাদত উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ২০০১ সালে আমাকে ফেল করিয়ে দেওয়া হলো। আড়াই লাখ টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলাম। সেখানে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতাম। অনেকে বলতো ৫ বছর এমপি ছিলা কী করলা? আমি মনে মনে ভাবতাম আর হাসতাম। কারণ আমার বাবা একেএম সামসুজ্জোহা। পয়সা কামানোর জন্য, ধান্দা করতে রাজনীতিতে আসি নাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমরক্ষেত্র এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরদের তীব্র সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে থাকে, ওরা এত খায় মনে হয় ওরা বাংলাদেশটাকেই চিবিয়ে খাবে। তারপরও ওদের ক্ষুধা মেটে না। এটা সব জায়গাতে আছে। এদের মধ্যে সেলিম ওসমান ব্যতিক্রম। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান ধান্ধা করার জন্য আজকে আসে নাই। উনার প্রতিটি টাকা রক্ত বিক্রি করা পরিশ্রমের। আজকাল খুব কম মানুষই আছে, নিজের টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠান করে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমি যখন এখানে বসে বক্তব্য দিচ্ছি, তখন বাংলাদেশের কোনো না কোনো জায়গায় বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে, কোনো না কোনো জায়গায় বাংলাদেশকে আফগানস্থান, লিবিয়া কিংবা সিরিয়া বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা কী করবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনার। তবে আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি বলছি, আমরা লড়াই করবো এবং লড়াইয়ে জিতবো। কারণ অন্যায় কোনো সময় ন্যায়ের সঙ্গে পারে না। সত্য কোনো সময় মিথ্যার সঙ্গে পারে না। আজকে তারা আবারও জেগে উঠেছে।
বিএনপি-জামায়াতের কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, যারা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদেরকে আমি গণতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ বলতে পারি না। অনেকে ইসলামের নামে রাজনীতি করে।
বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্দা আলহাজ এমএ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, একেএম সেলিম ওসমানের সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, বিকেএমএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, এনসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম সারোয়ার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস রিসাইক্লিং কালার্ড ফাইবার ম্যানু অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান খান, বাংলাদেশ পালস অ্যান্ড লেনটিল ক্র্যাসিং মিলস ওনার্স অ্যাসোসিশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।