গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সংকট ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টায় গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কার্যলয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
অঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও শুভ দেবের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারী সংহতি জেলার সম্পাদক পপি রাণী সরকার, বন্দর থানা গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক কাউসার হামিদ, জেলার অর্থ সম্পাদক রাকিবুল হাসান দ্বিপু প্রমুখ।
সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমানে ফ্যাসিবাদী সরকার যেভাবে জনগণের মাথার উপর চেপে বসেছে, এতে করে তাদের ক্ষমতা থেকে হটানো ছাড়া জনগণের আর কোন পথ খোলা নেই। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা তামাশার বস্তুতে পরিণত করেছে। সমগ্র দেশে হতাশা ও ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ বক্তব্য দিলেই তার উপর নেমে আসছে রাষ্ট্রীয় খড়গ। লেখক মোস্তাককে তো জেলের মধ্যেই হত্যা করলো এই জুলুমশাহী সরকার। তার উপর কথায় কথায় জনগণের মতামত না নিয়েই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা, জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়ার মতো ঔদ্ধত্য তারা দেখাচ্ছে। এটি স্পষ্টতই একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার নিদর্শন। আজকে দেশের ছাত্র, শ্রমিক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ কেউ ভালো নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের একমাত্র পথ জনগণের অভ্যুত্থান। আমরা সেই অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে যাই।
সভাপতির বক্তব্যে অঞ্জন দাস বলেন, একে তো মানুষ বাসাবাড়িতে চুলায় গ্যাস না পেয়ে সিলিন্ডার কিনে অতিরিক্ত ব্যয় করছে! তার উপর গ্যাসের অযোক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা জনগণের সাথে একপ্রকার হাস্যরস করা! ১ টাকাও গ্যাসের অযোক্তিক মূল্যবৃদ্ধি করা চলবে না। এটা জনগণের স্পষ্ট বক্তব্য। আমরা গণসংহতি আন্দোলন গ্যাসের এই অযোক্তিক মূল্যবৃদ্ধির অপতৎপরতা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষে আগামীকাল থেকেই আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবো। জনমত তৈরিতে কাজ করে যাবো।