আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আমি অসুস্থ, আগামীকাল আমার মেডিকেল বোর্ড বসবে। তারপরও একটি খবর পেয়ে ছুটে এসেছি, একটা তৃতীয় পক্ষ, হতে পারে সেটা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি, খন্দকার মোশতাকের বংশধর, উগ্র মৌলবাদী শক্তি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
সদর উপজেলায় প্রায় ৭/৮ লক্ষের মতো ভোটার আছে। যেহেতু নির্বাচনী এলাকাটা আমার। যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত নাহ, তারা সেখানে একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করে লাশের রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। দু’চারটে লাশ তাদের দরকার যেটা তারা ন্যাশনাল ইস্যু বানাবে।
প্রশাসনের সাথে সোমবার (৮ নভেম্বর) আলোচনা করেছি আমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্লোগান সে মোতাবেক প্রত্যেক নাগরিক তার ইচ্ছে অনুযায়ী নিজস্ব ভোট দেবেন। আমাদের নির্বাচনী এলাকায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কেউ সমস্যা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু হাইব্রিড বক্তব্য সারাদেশে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। জাতির কন্যার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। নারায়ণগঞ্জ, যেখানে আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে আমরা এমন কোন কর্মকান্ড হতে দিব না, যাতে দল বা নেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
শামীম ওসমান বলেন, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব, যার যার ভোট সে সে দিবে। যে ব্যত্যয় ঘটাবে আমারা অনুরোধ জানাবো তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমি চাইবো যাতে হান্ডেড পার্সেন্ট ফ্রি এন্ড ফেয়ার একটা নির্বাচন হয়।
বর্তমান নির্বাচনী এলাকার বেশির ভাগই আমার। ২০১৬ সালের ১৬ জুন বোমা হামলা ঘটেছে। আগামীতে সামনে কিছু নির্বাচন আছে, সেই নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে কিছু শক্তি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। তারা চেষ্টা করবে, যেন আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই।
আমরা চাই ফ্রী এন্ড ফেয়ার নির্বাচন হোক। নির্বাচনের যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারে এজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন যথেষ্ট সজাগ রয়েছে।