ফেনীতে সোহেল নামে দুবাই প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী শিউলী আক্তার আদালতে স্বামী খুনের দায় স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফেনীর সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে শিউলি আক্তার এ স্বীকাররোক্তি দিয়েছেন।
শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে র্যাব তাকে আটক করে। এ সময় ওই দম্পতির দুই সন্তানকে উদ্ধার করে র্যাব। ফেনী র্যাব ক্যাম্পে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন শেষে আসামিকে ফেনী থানায় হস্তান্তর করলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যামে তিন দিনের রিমান্ডে নিলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছুট্টু মিয়ার বাড়ি থেকে শিউলী আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান বলেন, প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী তার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে শিউলী বলেন, সোহেলের পরকীয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল।
২০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল শিউলীকে তালাক দেয়। শিউলী তালাকের কথা শুনে রান্নাঘর থেকে বঁটি নিয়ে এসে পেছন থেকে ঘাড়ে আঘাত করলে সোহেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে সন্তানদের নিয়ে রাতেই ট্রেনে চট্টগ্রাম চলে যান। সকালে চট্টগ্রাম থেকে ফটিকছড়ি হয়ে চৌদ্দগ্রামের সোনাপুরে চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার দেখানো ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা বঁটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, ফেনী মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার সুফী সদর উদ্দিন সড়কে চৌধুরী সুলতানা ম্যানশনের ষষ্ঠতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে বৃহস্পতিবার সোহেলের স্ত্রী শিউলী আক্তার তার দুই সন্তান নিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সোহেলের মা বাদী হয়ে শিউলী আক্তারকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।