জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় দেন।
তথ্য গোপনের অভিযোগে তারেক রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ৬ বছর কারাদণ্ড, ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড,অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জোবায়দা রহমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রেরর অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিন দুপুর ৩ টা ১৯ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারক ৩ টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। ৪ টা ২ মিনিটে রায় পড়া শেষ হয়।
এদিকে, রায় শুনে আনন্দ উল্লাস করেছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। আর এ রায়কে ভুয়া বলছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। গত ২৪ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।