নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাত জন উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সাংবাদিকদের জানান, গতবার আমরা যা করেছি, এবারও সেটাই হবে। বাকিটা আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জানান, এবারও গতবারের মতো হবে। কখন পদত্যাগপত্র দিচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব জানান, টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে শুনেছি। তবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, জানি না।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।
এর আগে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২১ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ৭ জন। ওই মন্ত্রিসভায় মহাজোট সরকারের ১৬ মন্ত্রী ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীর বাদ পড়েন। নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর আরও দুই উপদেষ্টা।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।