মোঃতারিফুল আলম তমাল শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ র্যাবের অভিযানে নিখোঁজের ১৮ দিনপর ইজিবাইক চালাক হোসেন আলী (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নাওকুঁচি পাহাড়ে মাটির নিচ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইজিবাইক চালক হোসেন আলী শ্রীবরদী পৌর শহরের শেখদি মহল্লার মুত আশরাফ আলীর। গত ২৬ নভেম্বর শুক্রবার হোসেন আলী প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। হোসেন আলীর বড়ো ভাই আবুল কাশেম এবিষয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন স্থানে খুঁজা-খুজিঁর পর না পেয়ে অবশেষে র্যাব ১৪ জামালপুরকে অবহিত করা হয়। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নাওকুঁচি গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুমেল রানা(৩২)কে আটক করে র্যাব। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুজন মিয়া (৩৫)কে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০টার দিকে সুমেলের বাড়ির পাশে পাড়ার থেকে মাটি খুড়ে মাটির নিচ থেকে হোসেন আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। র্যাব ১৪ জামালপুরের অধিনায়ক রুকুনুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনার সময় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ি সার্কেল) আফরোজা নাজনীন, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমানসহ র্যাব ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনা শেষে র্যাব ১৪ জামালপুরের অধিনায়ক রুকুনুজ্জামান গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের জনান, গ্রেফতারকৃত সুমেল রানা ও সুজন মিয়া ইজিবাইক চালক হোসেন আলীর ইজিবাইক নিয়ে নাওকুঁচি সুমেল রানার বাড়িতে আসে। এখানে তারা ২ জন হোসেন আলীকে নির্যাতন চালিয়ে তাকে খুন করে মাটি চাপা দেয়। পরে তারা ইজিবাইকটি বিক্রি করতে না পেরে ১০ হাজার টাকায় শুধু ব্যাটারিটি বিক্রি করে দেয়। র্যাবের পক্ষ থেকে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।