প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জের জনমানুষের নতুন ইচ্ছের প্রতিফলনে একটি শ্লোগান ভিত্তিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। তাঁরা বলছে, শুরু হলো পথচলা। শহর রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অঙ্গীকারে সব ধরনের পেশাজীবি জনগোষ্ঠী সংগঠনটিতে একাট্টা হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর প্রতিভাধর তনয়া শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গিকারে বলছে তাঁরা, মানুষ হয়েই লড়তে চাই। হতে চাই নাগরিক। তাই, এবারের আন্দোলন, শহর রক্ষার আন্দোলন।
নতুন করেই সাজাতে হবে প্রিয় নারায়ণগঞ্জকে। নাগরিক কমিটি হয়ে সোচ্চার হলে হবে না, ফিরিয়ে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে। আবেগমুখর মনের আহ্লাদকে যেদিন জয় বাংলা বলে উচ্চারণে থেকে বাংলার মানুষগুলো শাণিত ছুরির ধার হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রত্যাশা করেছিল, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে সংগঠনটির নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন, ‘অনিবার্য কারণে একটি কমিটি গঠন করবার উদ্যোগে যেতেই হলো। হ্যাঁ, “জয় বাংলা নাগরিক কমিটি”র যাত্রা কেবল শুরু।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের গাবতলী এলাকায় “জয় বাংলা নাগরিক কমিটি”র আপাত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটি তাঁদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং সুস্পষ্ট আদর্শিক অবস্থান নিশ্চিত করে বলেছে, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। কারণ, একজন বিশ্বমানের নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেননি ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভি। সারাদেশ যখন শেখ হাসিনার উন্নয়নের অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন একজন আইভি দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে পিছিয়ে পড়া এক চরিত্র। যে আশা ভরসার জন্ম হয়েছিল আইভী নামের এক বিপ্লবীকে ঘিরে, তিনি ততোটাই হতাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসীকে। বুর্জুয়া শ্রেণির প্রতিনিধি বনে গেছেন, নাসিক হয়ে গেছে সুফিয়ান সিটি কর্পোরেশন।
এদিকে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক আহবানে সংহতি প্রকাশ করে জয় বাংলা নাগরিক কমিটি রাজপথে আড়ম্বর আয়োজনে যেয়ে তাঁদের আত্মপ্রকাশ ঘটায়নি। যদিও সামাজিক দুরত্ব রেখে প্রায় তিন শতাধিক পেশাজীবির উপস্থিতিতে তাঁরা ১০১ সদস্যবিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করেছে। যেখানে ছয়টি উল্লেখযোগ্য পদের নাম ঘোষণা করে জয় বাংলা নাগরিক কমিটি ঘোষণা রেখেছে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ১০০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু, বর্তমান কমিটিতে কোনো আহবায়ক ও সদস্য সচিবের পদ রাখা হয় নাই। ছয় জন যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন, যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে। তাঁরা হলেন, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ তপু সাহা, শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ, সাংবাদিক এম এস ইসলাম আরজু, কবি মিতা প্রধান, শিক্ষক সেলিনা সুলতানা শিউলি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের প্রতিনিধি খাজা মামুন মিয়া।
জয় বাংলা নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশের দিনে বিশেষ ঐ সভাটির সভাপতিত্বে ছিলেন, জনাব হুমায়ুন কবির। এদিকে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরের মানুষগুলোর জন্য নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখবার উদ্যোগে যেতে হবে নগর সেবকের। কিন্তু দায়িত্বশীল পর্যায়ের কর্পোরেশনটিকে বড়সড় দায়িত্ব নিতে হবে। যিনি( সেলিনা হায়াৎ আইভি) দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেননি। তিনি সবুজ নারায়ণগঞ্জ করার চেষ্টায় সঁপে দেওয়া বিশেষ চরিত্র হতে পারেননি। শহরটাকে সুন্দর করতেও ব্যর্থ তিনি।
ময়লা আবর্জনার স্তুপে শহরটার রঙজীর্ণ হয়ে বড়ই বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। কিন্তু, তাঁর কথার ফুলঝুরি আছে। এভাবে আর কত দিন? তাই চলতে পারে না। শহর রক্ষার আন্দোলনে যেতে হবে। পাড়া মহল্লায় সন্ত্রাস কমে নাই। চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। কিন্তু, এসব অনৈতিক কর্মগুলোর সাে নিজের বিশেষ অন্ধকার বাহিনী জড়িত েেকও অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। সব চাইতে বড় অভিযোগ হলো, তিনি স্বাধীনতা বিরুদ্ধ শক্তির সাথে নেপথ্যে ও প্রকাশ্যে হাত মিলিয়ে চললেও কেউই মুখ খুলছে না।
অন্যদিকে জয় বাংলা নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এই মুহূর্তে আলোচিত নতুন মুখের রাজনীতিক কামরুল ইসলাম বাবু, যিনি সম্প্রতি নাসিক নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বিএনপি- জামায়াত ও মৌলবাদী গোষ্ঠী সতর্ক হয়ে যাও, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে তোমাদের একটি সভা পর্যন্ত করতে দেব না। কারণ, তোমরা জনস্বার্থে রাজনীতি করতে জানো না। আর যারা তোমাদেরকে আশ্রয় দিয়ে ও ভোট নিয়ে নাসিকের বড় চেয়ারে বসে মধুর হাঁড়িতে মুখ লাগিয়ে চাটছেন, তাঁকে বিদায় নিতে হবে। তিনি একজন শেখ হাসিনাকে ঠকিয়েছেন, ঠকিয়েছেন নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
জয় বাংলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পদ পাওয়া যুগ্ম আহবায়ক শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, দেশে লক ডাউন না থাকলে মেয়াদ পূর্তির আগেই জনাবা সেলিনা হায়াৎ আইভিকে পদত্যাগের দাবীতে সোচ্চার থাকা হবে। আসতে পারে হরতালের মতো কর্মসূচীও। কাজেই রাজপথে দেখা হবে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী। তবে একটি চমক আসছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই। আমরা তখন প্রমাণ করবো, কেন এই শহরের জনগোষ্ঠী আমাদের উন্নত চিন্তাগুলি গ্রহণ করবে ! আর চমক আসছে, রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাচ্ছে, যা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা একই সঙ্গে শোকের মাস আগস্ট ঘিরে সাংস্কৃতিক দিক ঠিক রেখে কর্মসূচী বাস্তবায়নে থাকব।
কমিটিঃ মোঃ ওয়াসিম ভূঁইয়া, মোঃ মোস্তফা কামাল, মোঃ জাহাঙ্গীর, মোঃ সালাউদ্দিন, মোসাঃ রাহিমা, জয়নব, সীমা চৌধুরী, মোঃ ফয়সাল, নাজমা আক্তার, নিশি, রুমা, হিরা, জোসনা, শাকিলা, সুরবানু, মিনা চৌধুরী, মানিক মিয়া, মোঃ খালিছ, দেলোয়ার, তুষার রহমান, বৃষ্টি, সাইদুর রহমান, মোঃ আরিফ, মনিরুজ্জামান, সাগর মিয়া, শফিকুল ইসলাম, ফাহমিদা খোন্দকার, এমি নাজনীন, সাদিয়া, শাহীন খান, সজিব আহমেদ, নাদির হোসেন মিঠু, মোঃ শাহিন, মোঃ আমিনুল ইসলাম, আরিফ হোসেন টিটু, মোঃ কবির হোসেন, মাহফুজ আহমেদ, বাপ্পি চক্রবতী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান মিঠু, মোঃ শুভ, ঝুমি আক্তার, ফারজানা বেগম, আঞ্জু, মিনা আক্তার, কহিনুর, মোঃ জাকারিয়া শিপন, মোঃ জাকির হোসেন, মনিম সাগর, মোঃ জিয়াউর রহমান, সাইফুল ইসলাম ২, মোঃ তুষার রহমান, সুরজিত ভৌমিক, শামিনা ইসলাম বিথী , মোঃ জুনায়েদ আল জুম্মান, মোঃ মাহবুবুর রহমান খোকন, ইমরান মোহাম্মদ রোমান,মোঃ হুমায়ুন কবির, শহিদুল ইসলাম শাওন, হাজী মোঃ আলমগীর, মোঃ রোমান আহমেদ, মোঃ শাকিল, মোঃ ইসরাফিল, মনির হোসেন , মোঃ মোমিন, মোঃ শাহিন, মোতালিব, নূর আল মাহবুব, সহিদুর রহমান, সাফিন আহমেদ, রুুহুল আমিন, এ বি তৌহিদ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল মিয়া, কোহিনুর আক্তার, কামরুন নাহার, মোঃ সাইফুল ইসলাম , সাইফুল ইসলাম ২, মোঃ ফারুক হোসেন, মোঃ মনির হোসেন, বাপ্পি চক্রবতী, মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল, মোঃ নাদিম হোসেন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ আরিফ ঢালী, মইনুল হোসেন পরশ, মোঃ মানিক প্রধান, মোঃ আরিফুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম, রানি খাতুন, আবুল কালাম আজাদ, বিটু, মোখলেসুর রহমান স্বপন, হাসান সাউদ, মোঃ সাইদ ,আঃ মান্নান, কাজি সুমন।