শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

চেঙ্গিসের ভাতিজা ও শিউলির বিরুদ্ধে স্ত্রী লুনার জিডি

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১, ৭.২৯ এএম
  • ৫০০ বার পড়া হয়েছে

নারায়ষগঞ্জ ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবদল নেতা খোরশেদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও প্রাণ নাশের হুমকীর অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা।

 

সোমবার দুপুরে তিনি সাধারণ ডায়েরীটি (নং- ৪৫৪) করেন। এর আগেও তিনি নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে জুন মাসে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।

 

সোমবারের দায়ের করা সাধারন ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন, রোববার দিবাগত রাত বারোটার দিকে তার মাসদাইর শেরেবাংলা রোডস্থ তার বাড়ীর গেইটে গিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ইব্রাহিম চেঙ্গিসের ভাতিজা ইসতু ৪ থেকে ৫ জন সহোযোগি সন্ত্রাসী নিয়ে রামদা, বটি, হকিষ্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র শেস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাড়ীর সামনের রাস্তায় দাঁড়াইয়া বাদীর স্বামী ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নাম ধরিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকী দিয়া তাদের সাথে থাকা সাদা রং এর প্রাইভেটকার (নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ- ১৫-৩৫৩৫) যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

 

পুনরায় তারা সংঘবদ্ধ হইয়া রাত ১ টার দিকে প্রাইভেকটাকারে করে দ্বিতীয় দফায় ঘটনাস্থলে আসে এবং ইসতু সহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা হাতে থাকা চাপাতি, বটি এবং হকিস্টিক দিয়ে আমার বাড়ীর গেইটে এলোপাথারি আঘাত ও কোপাইতে থাকে।

 

সন্ত্রাসীদের হামলায় বাদীর স্বামী কাউন্সিলর খোরশেদ এর কার্যালয়ের জানালার গ্লাস, বাড়ীর প্রধান দরজা এবং বাড়ীর বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

 

হামলার সময় ইসতু ও অপর সন্ত্রাসীরা বাদীর স্বামী ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে প্রাইভেটকার যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পরপরই বাদী বিষয়টি ইসতুর ইব্রাহীম চেঙ্গিস কে অবগত করেন।

 

সাধারন ডায়েরীতে আরো উল্লেখ্য করা হয় যে, রোববার রাতে হামলার সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত রয়েছে কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবী করা ও খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বাদী সাঈদা আক্তার শিউলি জড়িত রয়েছে।

ইসতুর সাথে শিউলীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সাঈদা আক্তার ওরফে সাঈদা শিউলীর হুকুমে ও ইন্দনে রোববার রাতের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, সাধারন ডায়েরীটি তদন্ত স্বাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort