কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। হ্যাশট্যাগ মিটু শীর্ষক সেই মুভমেন্ট ভারতের বিনোদন জগতেও ঝড় তুলেছিল। বহু অভিযোগ উঠে এসেছিল প্রকাশ্যে। এখনো মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অভিনেত্রী তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো তুলে ধরেন। প্রতিবাদ জানান।
এবার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন কলকাতার অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্র। পরিচালক, প্রযোজকের লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে অভিনয় থেকেই দূরে সরে যান।
বাংলা সিরিয়াল ‘ছদ্মবেশী’তে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই তিনি হেনস্তার শিকার হন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘সহ-অভিনেতাদের কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি। বরং আমায় উত্ত্যক্ত করেছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরা। সমানে ফোনে খারাপ খারাপ মেসেজ আসত। সেসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুটিং সেটে সাংঘাতিক হেনস্তা করা হচ্ছিল আমাকে। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে কাটাতাম। বাড়ি ফিরে এসে কাঁদতাম। এসবের জন্যই সরে যেতে হয়েছিল ওই ধারাবাহিক থেকে।’
পরবর্তীতে টানা দুই বছর আর কাজ করেননি প্রিয়াঙ্কা। তবে কাজ ছেড়ে আসার পর ওই পরিচালক, প্রযোজক নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। সেজন্য অভিনেত্রীকে মেসেজ করে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
দুই বছর বিরতি দিয়ে সিরিয়ালে ফেরেন প্রিয়াঙ্কা। ‘খড়কুটো’ নাটকের চিনি কিংবা ‘মোহর’ নাটকের দিয়া চরিত্রে দর্শকদের মুগ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এগুলো পার্শ্ব চরিত্র, তবু আক্ষেপ নেই তার। এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “খারাপ লাগবে কেন? চরিত্রগুলো তো গুরুত্বপূর্ণ! আগামীতে আবার নিশ্চয়ই মুখ্য চরিত্র পাব। দু’বছর পরে ফিরে এসে বোনের চরিত্র খারাপ কী?”
এখন আর কাস্টিং কাউচ বা হেনস্তার ভয় পান না প্রিয়াঙ্কা। তার ভাষ্য, ‘এখন সবটা পাল্টে গেছে। ওই অভিজ্ঞতাটা মানসিকভাবে আমায় অনেকটা শক্ত করেছে। এখন আর কাউকে ভয় পাই না, কাঁদিও না। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলি।