নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৫ নেতাকে গতকাল ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিঠির আলোকে তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিস্কৃত নেতারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য খন্দকার আবুল বাশার টুকু, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছামছুল আলম, করিম পাঠান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইয়ার হোসেন, ১নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমিন বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জলিল মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি আলাউদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য আনার উদ্দিন, মমিনুল হক ও ৯নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি ছামছুল হক।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলীর নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের আনারস প্রতীকের পক্ষ নিয়ে প্রচার প্রচারণাসহ দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত এক পত্রে গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ঠ) ধারা অনুযায়ী তাদের বহিষ্কার করা হয়।
উল্লেখ গত ৩ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আওয়ালকে একই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আগামীকাল ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।