রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে স্বজনদের কবরে মাটি ফেলার প্রসঙ্গে আবারও কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনায় তিনি যদি তার কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করতেন এবং তাতে যদি তার পরিবার ও কর্মীরা উত্তেজিত হতো তাহলে ‘নারায়ণগঞ্জে কেবল মাথা দেখা যেত মাটি দেখা যাইতো না।’
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় রাইফেলস্ ক্লাবে এক কর্মীসভায় তিনি এ কথা বলেন। এই সময় তার অনুসারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি এক ঘন্টারও বেশি সময় বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে শামীম ওসমান কবরে মাটি ফেলা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘মাটি এমনভাবে দেওয়া হইছে যে, কার কবর সেইটা বোঝা যাচ্ছিল না। আমি জানি, এই কষ্টটা আমি নিতে পারবো না। এই কারণে আমি একা গিয়েছিলাম কবরস্থানে। কারণ এই কষ্টের কারণে যদি আমার চোখের পানি পড়তো বা এই কষ্টের বহিঃপ্রকাশ যদি আমার মুখ দিয়ে বের হইতো, তাহলে নারায়ণগঞ্জে কেবল মাথা দেখা যাইতো না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার কর্মীদের চিনি, আমি আমার পরিবারকে চিনি। আমি জানি, তারা যদি উত্তেজিত হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে শুধু মাথা দেখা যাবে, মাটি দেখা যাবে না। অতটুকু মানুষ নামানোর ক্ষমতা আমার কর্মী ভাইদের আছে অতটুকু আমি জানি। তাই আমি বিচার আল্লাহর কাছে দিয়া দিছি। এইগুলো আল্লাহই দেখে নেবেন।’
সরকারদলীয় এই সাংসদ আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনার নাম আমার বাবা, মা, ভাইয়ের নামে করেছেন। আমরা খুশি হয়েছি, চোখে পানি এসেছে, আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। এইটা নাকি টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা হইছে। এই নিউজ আমাকে পাঠাইছে আমি দেখিও নাই। ছাগল-পাগল-কুত্তা-বিলাই কিছু কইলে তাতো শুনতে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু খোকন সাহা ও আইনজীবী মোহসীন সংক্ষুব্দ হয়েছে। তারা মামলা করেছে। আমি চাই এই মামলা আপনারা প্রত্যাহার করবেন। এইটা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ। এরা এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি না যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।’
কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ।