নারায়ণগঞ্জের-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমাকে কেউ কেউ গালাগালি করেছে। সে তো তার নিজ দায়িত্বে করেছে। তাতে আমার সমস্যা কি। সমস্যা হলো কেন বলে। যারা আকাশে উড়ে সবই পাখি না। চামচিকারে কেউ পাখি বলে না। চামচিকা উড়ে উড়ে বলে আমি পাখি, ওরে তো কেউ পাখি বলবে না। কাক কানের সামনে ডাকাডাকি করলে ভালো লাগে না। কিন্তু কাকের মতোই কালো রঙের পাখি কোকিলের গান যেন বালাদেশের অপূর্ব সৌন্দর্য্যের একটি অংশ। এখন কাউয়া যদি কা কা করে কোকিলের কিন্তু পাল্টা জবাব দেওয়ার কিছু নেই। মানুষ জানে কোনটা কোকিল কোনটা কাক। এখন আর ওই লেভেলের আলোচনা করার মতো মনমানসিকতা নাই।
রবিবার (১৩ মার্চ) বিকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি শীষ মহল এলাকায় ইউনাইটেড ক্লাবের আওয়ামীলীগের কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নতুন একটি ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন, যারা ওয়ান-এলিভেনের প্রবক্তা, যারা বাংলাদেশের পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের উপর আঘাত আসলে খুশি হয়ে হাততালি দেন। সে সমস্ত লোকেরা নারায়ণগঞ্জে এসে মিটিং করছেন। এর মানবাধিকার কিংবা নানা কথা বলে এরা নারায়ণগঞ্জে এসে নেত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কথা বলে। ওদের কপাল ভালো আমি ধৈর্য্যশীল হয়ে গেছি। আমার গায়ে লাগে না। কারণ আমার নেত্রী নীলকন্ঠীর মতো বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন। তাহলে আমি পারব না কেন। ওনি অনেক ধৈর্য্য ধরেছেন। মন থেকে দল করি। আমরা নাটক করি না। নির্বাচন আসলে একবার বলব একবার বলব ওনি আমার ব্রাদার আরেকবার বলব ওনি গডফাদার। ওনি আমার বড় ভাই, আরেকবার বলব ওনি আমার দুলাভাই। ক্ষমা করলে আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন। একটা শ্রেনীর মানুষ শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করতে চাচ্ছে। আমরা বুঝতে পারি টার্গেট টা কি। বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। যুদ্ধ হওয়ার কারণে তা হয়তো অন্যদিকে যাচ্ছে। ধরেন যে গাড়ি ঢাকা থেকে চিটাগাং যাওয়ার কথা সেটা মুন্সিগঞ্জ হয়ে অন্যদিকে যাচ্ছে। সব খুলে বলতে পারব না।
কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা , ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীসহ ফতুল্লা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।