৪ অক্টোবরের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিং পরিস্থিতি থেকে খুব শিগগির মুক্তি মিলছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট ২৪ ঘণ্টা চালাতে পারি না। একটা বিষয় চিন্তা করতে হবে। তেলের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর ওপর লোড পড়ছে। এই লোডের কারণে আমরা দিনে কিছু প্ল্যান্ট বন্ধ রাখছি, রাতে চালু করছি। আবার দিনে যেগুলো চলছে, রাতে সেগুলো বন্ধ রাখছি। এজন্য লোডশেডিং একটু বড় হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম অক্টোবর থেকে লোডশেডিং থাকবে না। কিন্তু তা আমরা করতে পারলাম না। কারণ, আমরা গ্যাস আনতে পারিনি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব করা যায়। একটু ধৈর্য ধরুন। এই এক-দুই মাস হয়তো কষ্ট করতে হবে। এই মাস শুধু কষ্ট করতে হবে। আশা করছি সামনের মাসে হয়তো ঠিক হবে। আমরা চেষ্টা করছি আরেকটু ভালো করার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট হলো ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস দেওয়া। এর জন্য আমরা একটু দায়বদ্ধ।
নভেম্বরে তাহলে পরিস্থিতি ভালো হবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তো আশা করছি।
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে ৪ অক্টোবর দুপুর ২টার পর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে রাজধানীসহ দেশের বড় একটি অংশ। পরে রাতে ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। তবে এর পর থেকে লোডশেডিং বেড়ে যায়।