
স্টাফ রিপোর্টার দাউদকান্দি কুমিল্লা: কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামিলীগ নেতা আওয়ামিলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে রাতের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান দুলাল এখনও বহাল তবিয়তেই থেকে মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামিলীগকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সুত্রে একাধিক ব্যক্তি জানান যে নিষিদ্ধ আওয়ামিলীগকে পুনর্গঠন যুবলীগকে অর্থায়ন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে সরকারি বরাদ্দ বিভিন্ন ভাবে নামে বে নামে বরাদ্দ দিয়ে যাচ্চেন। নিষিদ্ধ আওয়ামিলীগ যুবলীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনকে সুসংগঠিত করে গেপনে সরকার বিরোধী যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে কাজে লাগানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ফ্যাসিবাদী সরকারের মনোনীত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
দাম্ভিক এই চেয়ারম্যান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় আওয়ামীলীগের একাধিক শীর্ষ নেতারদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কাউকে তোয়াক্কা করতেন না বলে জানান মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের জনসাধারণ।
এলাকা বাসির দাবি এক সময়ের দুর্দান্ত প্রভাবশালী এই জনপ্রতিনিধি এখনো গোপনে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন এবং গোপনে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় না থাজলে ও চেয়ারম্যান দুলাল গোপনে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আবার ও নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামিলীগকে রাজনৈতিক ভাবে শক্তি সঞ্চয় করে মাঠে আনার চেষ্টা করছেন।
এলাকা জুড়ে চলছে কানাঘুষা ও তীব্র সমালোচনা আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ আওয়ামিলীগের মনোনীত ফ্যাসিস্ট চেয়ারম্যান দুলাল বৈধ। এলাকা বাসি জানায় ঢাকার মিরপুরে চেয়ারম্যান দুলালের একাধিক বাড়ি প্লট ও বিলাসবহুল ফ্লাট রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প সুবিধা ও সুযোগের আড়ালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।গোপন সুত্রে যানা যায় যে নিষিদ্ধ বরিং ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ফসলি জমি কেটে বালু উত্তোলনে এবং মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাষ্টার মাইন্ড এবং তার আয়ের উৎস আয়ের উৎস নিয়ে কথা তুললে ও কোন সঠিক ব্যাখ্যা এখনো দিতে পারেননি তিনি, অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুলাল চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অকপটে বলেন আওয়ামীলীগকে মোটা অংকের টাকা দিয়েই নৌকা প্রতীক এনে আমি নির্বাচিত হয়েছি এখনো টাকার জোরেই বহাল তবিয়তে আছি। আসলে টাকা যার দুনিয়াটা তার টাকার জোরে আমি সবকিছু করতে পারব। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলেছেন একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধির মুখে এমন বক্তব্য পুরো ইউনিয়নের জন্য লজ্জাজনক। দুলাল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ বহুদিনের হলেও কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি, এখন তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ উঠায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে অনেকেই বলছেন ক্ষমতার জোরে তিনি দীর্ঘদিন যা খুশি তাই করেছেন এখন সময় হয়েছে তদন্তের। একজন চেয়ারম্যান কিভাবে এত অবৈধ সম্পদের মালিক হন তা সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে। স্থানীয় সূত্র জানায় বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে তবে আনুষ্ঠানিক কোন তদন্ত এখনো শুরু হয়নি।