নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মহলকে পর্যবেক্ষণের আহবান জানিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, পুলিশের কার্যক্রমের কারণে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক দূতাবাসের যারা আছেন পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মী যারা আছেন সবাইকে বলব, আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুন। কেন আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে। কেন নেতাকর্মীদের কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হচ্ছে, মাঠ ছাড়তে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলে আসছি প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন চান এ কথাটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। নারায়ণগঞ্জে যা হচ্ছে, প্রশাসন যা করছে সে ব্যাপারে তার কোনো নির্দেশনা নেই বলেই আমি বিশ্বাস করি। অতি উৎসাহীরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশ গ্রহণের পথকে রুদ্ধ করতে চাচ্ছে।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, প্রশাসন যদি মনে করেন আমার নেতাকর্মীরা ভীত, জনগণ ভীত তবে ভুল করছেন। আমার নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় তারা ভীত হয়েই এসব করছে। তারা বুজতে পারছেন আমার দলের নেতাকর্মীরা তো নৌকায় ভোট দিবে না, পাশাপাশি সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকেও রাগিয়ে দেয়া হয়েছে। হঠাৎ করেই তাদের ছাত্র সংগঠনের কমিটি ভেঙে দিচ্ছে। কারণ তারা নৌকার পক্ষে কাজ করছে না।
তৈমুর বলেন, কাউকে ধমক দিয়ে গালি দিয়ে তো কাজ করানো যায় না। নারায়ণগঞ্জের জনগণের কাছে মেসেজটা ক্লিয়ার যে তাদের মাঝে বিরাট ফাটল। ঢাকা থেকে মেহমানরা এসেও এই ফাটল মেটাতে পারেনি। এবার পরিবর্তন আসবে, হাতি এখন জনগণের মার্কা।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, পুলিং এজেন্ট আমরা ৩ সেট তৈরি করে রেখেছি। আমাদের কোনো পুলিং এজেন্ট যদি গ্রেফতার হয়ে যায়, তাহলে আরেক জন যাতে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে।
কেন্দ্রকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে। সরকারদলীয় প্রার্থীর নানা ধরনের কথা আমার জন্য একটি ভালো অবস্থান তৈরি করেছে। জনগণ এখন মনে করে, আমার দল বিএনপি ও ২০ দল এখন আমার সঙ্গে আসছে। বরং সরকারি দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এমপিদেরও ভোট আছে। তারা এমপিদের বিরুদ্ধে কথা বলে, কঠিনভাবে সমালোচনা করে, জনগণের মাঝে এই ম্যাসেজটা দিয়েছে।
এ সময় তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গে ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম টিটু, মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সহ সভাপতি ফারুক হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, মহানগর শ্রমকি দলের সভাপতি আলী আজগর প্রমুখ।
এদিকে ১১নং ওয়ার্ডে প্রচারণা শেষে তৈমুর আলম খন্দকার নগরীর ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় প্রচারণা চালান। শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার এলাকায় তৈমুরের প্রচারণার সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও আশপাশের হকাররা তাকে জড়িয়ে ধরেন। সেখানকার রিকশাচালক, ভ্যানচালকরাও তৈমুরকে দেখে ছুটে আসেন।