মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ৫০ শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অভিশাপ: রাশেদ খান আড়াইহাজারে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্দর থানা দক্ষিণ শাখার কর্মী সম্মেলন হত্যা মামলার আসামি মেহেদীর গ্রেফতারী পরোয়ানা ও সম্পত্তির হিসাব চেয়ে দুদকের হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিষদ ও ত্রি-পক্ষীয় ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে অনশন ধর্মঘট কালিরবাজারে আগুনে পুরে ৪০টি দোকান ছাই: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সমবেদনা জানালেন মহানগর জামায়াতে ইসলামী রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুই লক্ষ্যাধিক মানুষের দুর্ভোগ নারায়ণগঞ্জের কালির বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ২০ বছরের ছোট সারার সঙ্গে রণবীরের রোমান্স, হতাশ নেটিজেনরা

কোনো কাজের আগে ইনশাআল্লাহ বলার গুরুত্ব

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০.২৩ এএম
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ভবিষ্যতে কোনো কাজের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত বলি, কাজটি করবো। তবে কাজটি শুধু করবো অথবা দেখবো না বলে ইনশাআল্লাহ কাজটি করবো বা দেখবো বলা উচিত। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার ওপর আস্থা ও ভরসা রাখার হয়। এবং আল্লাহ তায়ালা কাজটি সহজ করে দেন।

ইনশাআল্লাহ বলার বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা নিজেই শিক্ষা দিয়েছেন রাসূল সা.-কে। এ ক্ষেত্রে একটি ঘটনা প্রসিদ্ধ রয়েছে। একবার ইহুদিরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি কথা জিজ্ঞাসা করেছিল। আত্মার স্বরূপ কি এবং গুহার অধিবাসী ও যুল-কারনাইন কে ছিল?

তাদের জিজ্ঞাসার জবাবে নবীজি সা. বললেন, আমি তোমাদেরকে আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু এর পর ১৫ দিন পর্যন্ত জিবরীল আ. ওহী নিয়ে এলেন না। অতঃপর যখন এলেন, তখন মহান আল্লাহ ‘ইন শা-আল্লাহ’ বলার নির্দেশ দিলেন।

অর্থাৎ, অদূর ভবিষ্যতে বা দূর ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার সংকল্প করলে, ‘ইন শা-আল্লাহ’ অবশ্যই বলে নিও। কেননা, মানুষ তো জানেই না যে, যা করার সে সংকল্প করে, তা করার তাওফীক সে আল্লাহর ইচ্ছা থেকে পাবে, না পাবে না?

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

وَ لَا تَقُوۡلَنَّ لِشَایۡءٍ اِنِّیۡ فَاعِلٌ ذٰلِكَ غَدًا ﴿ۙ۲۳اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ ۫ وَ اذۡكُرۡ رَّبَّكَ اِذَا نَسِیۡتَ وَ قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّهۡدِیَنِ رَبِّیۡ لِاَقۡرَبَ مِنۡ هٰذَا رَشَدًا ﴿۲۴

আর কোন কিছুর ব্যাপারে তুমি মোটেই বলবে না যে, ‘নিশ্চয় আমি তা আগামী কাল করব’ ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)। (সূরা কাহাফ, আয়াত : ২৩-২৪)

এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার উম্মতকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতকালে কোনো কাজ করার ওয়াদা বা স্বীকারোক্তি করলে এর সাথে ‘ইনশাআল্লাহ’ বাক্যটি যুক্ত করতে হবে। কেননা, ভবিষ্যতে জীবিত থাকবে কিনা তা কারো জানা নেই। জীবিত থাকলেও কাজটি করতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা নেই।

কাজেই মুমিনের উচিত মনে মনে এবং মুখে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আল্লাহর উপর ভরসা করা। ভবিষ্যতে কোন কাজ করার কথা বললে এভাবে বলা দরকার, যদি আল্লাহ চান, তবে আমি এ কাজটি আগামীকাল করব। ইনশাআল্লাহ বাক্যের অর্থ তাই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort